গবেষণার পরিমাপ করা বেশ কঠিন। কারণ সংখ্যার চাইতে মানটাই এখানে মুখ্য। তার পরেও গবেষণা সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু পরিমাপ তৈরী করা হয়েছে, যা দিয়ে কোনো জার্নাল অথবা কোনো গবেষকের প্রডাক্টিভিটির হিসাব করা হয়। আজকের লেখায় চট করে প্রধান কয়েকটি হিসাবের কথা বলবো।
এই সব কিছুর মূলে আছে সাইটেশন বা উল্লেখ করা। যেকোনো গবেষণা নিবন্ধে অন্য গবেষকদের কাজ উল্লেখ করতে হয় প্রাসঙ্গিক রিসার্চ হিসাবে। কারো কাজ অন্য কেউ উল্লেখ করার মানে হলো প্রথমজনের কাজের একটা স্বীকৃতি। সেটার ভিত্তিতেই হিসাবগুলা করা হয়।
– Impact factor: কোনো জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধগুলাকে গড়ে অন্য নিবন্ধে কতবার উল্লেখ করা বা সাইট করা হয়, তার হিসাবকে বলা হয় ঐ জার্নালের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর। সাধারণত এই হিসাবে সাম্প্রতিক কয়েক বছরের সাইটেশনের হিসাবই করা হয়। যেমন ধরা যাক, কোনো জার্নালের গত ৫ বছরে নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ১০০টি, আর এই নিবন্ধগুলাকে অন্য নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে ২৪০ বার। তাহলে এই জার্নালের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর হলো ২৪০/১০০=২.৪।
যতো বেশি ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর, জার্নালটি ততো ভালো মানের। কাজেই জার্নালে পেপার সাবমিট করার আগে জার্নালটির ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর যাচাই করে নিন। জার্নালের সাইটে লেখা থাকলেই বিশ্বাস করে বসবেন না, বরং অন্য কোনো সাইট থেকে যেমন স্কোপাস বা গুগল স্কলার থেকে যাচাই করে নিন।
– H-index: কোনো গবেষকের নিবন্ধগুলার মধ্যে h টি নিবন্ধ যদি অন্তত h বার সাইট করা হয়, তাহলে সেটা সেই গবেষকের h ইনডেক্স। ধরা যাক, একজন গবেষকের নিবন্ধগুলাকে সাইটেশন অনুযায়ী নিম্নক্রমে সাজানো হলো। তাঁর ১০টি নিবন্ধ অন্তত ১০ বার করে সাইট করা হয়েছে, তাহলে তার h ইনডেক্স হবে ১০। যত বেশি h ইনডেক্স, ততো ভালো এই গবেষকের প্রডাক্টিভিটি।
– i10 index: কোনো গবেষকের কতোটি নিবন্ধ অন্তত ১০ বার সাইট করা হয়েছে, তার হিসাবকে বলা হয় i10 index। মূলত গুগল স্কলারে এইটা ব্যবহার করা হয়।
কোনো গবেষকের h index এবং i10 index বের করতে হলে তার গুগল স্কলার পেইজে দেখতে পারেন।
তাই জার্নালে সাবমিট করার সময়ে খেয়াল করে নিন ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর কতো। অখ্যাত ভুয়া জার্নাল এড়িয়ে চলুন।
#গবেষণা
~ গবেষণার পরিমাপ ~Ragib Hasan
Posted in প্রিয় ব্যক্তিত্ব
মন্তব্য করুন