উদ্দেশ্যঃ
ইনপুট ডিভাইস এর সাথে পরিচিতি লাভ।
তত্ত্বঃ
মাউস একটি ইনপুট ডিভাইস। একে পয়েন্টিং ডিভাইসও বলা হয়। এটি নড়াচড়া করলে মনিটরের পর্দায় একটি তীর চিহ্ন নড়াচড়া করে। একে মাউস পয়েন্টার বলে। মাউস থেকে নির্দেশ কম্পিউটারে পাঠানোর জন্য বোতাম বা বাটন থাকে।
ইনকোডার বল চিত্র: আলেক যান্তিক মাউস ।
মাউস এর কার্যাবলী:
মাউসে ব্যবহৃত ছোট রাবার বলটি এর বেস হতে কিছুটা বাহিরের দিকে অবস্থান করে। টেবিল বা মাউস প্যাডের উপর মাউস-কে ঘোরালে রাবার বলটিও ঘোরে। বলের এ ঘূর্ণন পরস্পর সমকেএণ স্থাপিত দুটি রোলারে স্থানান্তরিত হয়। অন্য একটি রোলারের সাহায্যে মাউস বল উক্ত দুটি রোলরের সংস্পর্শে থাকে। প্রতি রোলারে স্থানান্তরিত ঘূর্ণনের দিক ও পরিমান বলের ঘূর্ণনের দিকের উপর নির্ভর করে। প্রতিটি রোলার ছিদ্রযুক্ত চাকার ন্যায় রোটারী ইনকোডারকে পরিচালনা করে। লাইট ইমিটিং ডায়োড হতে আলো ছোট ছিদ্রযুক্ত চাকায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে লাইট বীম তৈরি করে। ফটোডিটেক্টর উক্ত লাইট বীমসমূহকে বৈদ্যুতিক পালসে রূপান্তরিত করে। মাউস কন্ট্রোলার উক্ত বৈদ্যুতিক পাল্সমূহকে ইন্টারফেস ক্যাবলের মাধ্যমে কম্পিউটার স্থানান্তর করে । কম্পিউটার পরবর্তীতে উক্ত পাল্সসমূহকে মাউস ড্রাইভার সফটওয়্যারে স্থানান্তরিত করে যা পালস্সমূহকে দূরত্ব, দিক ও গতিতে রূপান্তরিত করে মাউস-কে যত তাড়াতাড়ি চালনা করা হয় তত বেশি সংক্যক বৈদ্যুতিক পালস উৎপন্ন হয় । মাউস-কে ব্যবহৃত বোতামগুলো সাধারন সুইচের ন্যায় হয়ে থাকে। যখন মাউস এর কোন বোতামকে চাপা হয় তখনও বৈদ্যুতিক পাল্স উৎপন্ন হয়। পর্দায় কার্সরের অবস্তান, কোন নির্দিষ্ট বোতাম চাপা ও কত সংখ্যকবার চাপা হল ইত্যাদি উপর নির্ভর করে মাউস ড্রাইভার ব্যবহারকারীর আকাক্সিক্ষত কার্যাবলি সম্পাদন করে।
মন্তব্যঃ
উক্ত mouse এর মাধ্যমে আমি, মাউস এর গঠন ও কার্যপ্রনালী সম্পর্কে জানতে পারলাম।
লেখকঃ নীরব মানুষ
প্রথম যুগটেকে প্রকাশিতঃ- এবং সংরক্ষিত
মন্তব্য করুন