এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডিজিটাল ক্যামেরা। 3,200,000,000 pixels ! নিশ্চই এটি আমার আপনার ছবি তোলার কাজে ব্যবহার করার জন্য নয়। মহাবিশ্বের ছবি তোলার জন্য। পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল টেলিস্কোপ। নাম Large Synoptic Survey Telescope
প্রতিরাতে ৩০টেরাবাইট ডেটা কালেক্ট করা হবে এ টেলিস্কোপ দিয়ে। প্রতি বছর 1.28 পেটাবাইট। নিশ্চই সাধারণ কম্পিউটার দিয়ে ডেটা প্রসেস করা যাবে না। দরকার সুপার কম্পিউটার। হ্যা, ডেটা গুলো প্রসেস এবং এনালাইসিস করবে সুপার কম্পিউটার। কম্পিউটারের ক্ষমতা হিসেব করা হয় FLOPS (FLoating-point Operations Per Second) দিয়ে। একটি single-core 2.5 GHz processor এর ক্ষমতা 10 Gigaflops এর মত. আর ক্যামেরাটির জন্য যে সুপার কম্পিউটার, তার ক্ষমতা হিসেব করা হয়েছে 100 teraflops!
আকাশের দিকে তাকালে আমরা প্রতিদিনই একই রকম দেখি। আমাদের চোখে কোন পরিবর্তন ধরা পড়ে না। কিন্তু আজকের একটি ছবি আর দুই দিন পরের আরেকটা ছবি পাশা পাশি ধরে দেখি, অনেক গুলো পরিবর্তন চোখে পড়বে। দুই দিনে কত গুলো সুপারনোভা ধংশ হয়ে যাবে, নতুন করে অনেক গুলো তৈরি হবে, সবই চোখে পড়বে…
এই ক্যামেরা দিয়ে ক্যাপচার করা ইমেজ আমরাও দেখতে পারব। ইন্টারনেটে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিবে…
মহাবিশ্ব যতটা রহস্যময়, কোয়ান্টাম লেভেলে প্রতিটা পদার্থ তেমনি রহস্যময়। এত বিশাল একটা ক্যামেরা দিয়ে যত গুলো সুপারনোভা ক্যাপচার করা হবে, তাও পুরো মহাবিশ্বের কয়েক বিলিয়ন ভাগের এক ভাগ মাত্র।
আমরা এখনো আমাদের অরিজিন সম্পর্কে জানি না। জানি না কিভাবে আমরা এসেছি। উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছি। এমনকি এখনো আমরা অনেক প্রশ্নই জানি না। জানি না আমাদের কি খুঁজতে হবে, কি খোঁজা উচিত। বসে নেই, এক্সপ্লোর করবই করব 🙂
মন্তব্য করুন